আজ রবিবারের মধ্যে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তিন সমন্বয়কসহ আটককৃত সকল শিক্ষার্থীর মুক্তি, মামলা প্রত্যাহার ও ‘শিক্ষার্থী গণহত্যা’র সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে দৃশ্যমান ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা। আর তা না হলে আগামী সোমবার (২৯ জুলাই) থেকে কঠিন কর্মসূচি দেওয়া হবে বলেও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন তারা।
গতকাল শনিবার (২৭ জুলাই) রাতে এক জুম মিটিংয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক রিফাত রশীদ, আব্দুল হান্নান মাসুদ ও মাহিন সরকার এই ঘোষণা দেন। কর্মসূচির অংশ হিসেবে আগামীকাল রোববার সারাদেশের দেয়ালগুলোতে গ্রাফিতি ও দেয়াললিখন কর্মসূচি পালন করা হবে।
এদিকে নেতৃবৃন্দ বলেন, আগামীকালের মধ্যে নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ, আবু বাকের মজুমদার এবং ডাকসুর সাবেক সমাজসেবা সম্পাদক আখতার হোসেনসহ সকল শিক্ষার্থীর মুক্তি, মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও শিক্ষার্থী গণহত্যার সাথে জড়িত মন্ত্রী পর্যায় থেকে কনস্টেবল পর্যন্ত সকল দোষীদের বিরুদ্ধে দৃশ্যমান ব্যবস্থা নিতে হবে। তা না হলে পরশুদিন থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কঠিন কর্মসূচি নিতে বাধ্য হবে।
তারা আরও বলেন, সারা বাংলাদেশের প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, জেলা, উপজেলা ও নগরকেন্দ্রিক ‘হেলথ ফোর্স’ গঠন করে আহত-নিহতদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা তৈরি, এবং আহত-নিহত ছাত্র-নাগরিক ও তাদের পরিবারকে মানসিক ও আর্থিকভাবে সহযোগিতা কার্যক্রম পরিচালনা করবে। সেইসাথে ‘লিগ্যাল ফোর্স’ গঠন করে সারাদেশে অসংখ্য মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলার ডকুমেন্টেশন এবং যাদের আইনী সাহায্যের প্রয়োজন তাদেরকে সেই সাহায্যের ব্যবস্থা করতে হবে। এক্ষেত্রে স্থানীয় ইউনিট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটির সাথে সমন্বয় করবে।
এছাড়া আগামীকালের কর্মসূচি হিসেবে সারাদেশের দেয়ালগুলোতে গ্রাফিতি ও দেয়াললিখন কর্মসূচি পালন করা হবে। প্রসঙ্গত, গত ২৫ জুলাই রাতে রাজধানীর গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তিন সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ, আবু বাকের মজুমদারকে আটক করে ডিবি। এর আগে ডাকসুর সাবেক সমাজসেবা সম্পাদক আখতার হোসেনকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এছাড়া আন্দোলনের সাথে জড়িত শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ও ডিবি।